নির্বাহী পরিষদের বৈঠক/কার্যবিবরনী/বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৮

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৮’র কার্যবিবরণী - ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

  • স্থান: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (প্রজেক্টর রুম), শাহবাগ, ঢাকা
  • নথি তৈরি করেছেন: নাহিদ সুলতান, সাধারণ সম্পাদক

২৭ জানুয়ারি ২০১৮, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা বিকাল ৩.৪৫ ঘটিকায় শুরু হয়। সভায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের ১২ জন নিবন্ধিত সদস্য যোগদান করেন।

সভার শুরুতে সাধারন সম্পাদক নাহিদ সুলতান সংগঠনের সভাপতি শাবাব মুস্তাফাকে সভাপতি হিসেবে সভা পরিচালনার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে সর্ব সম্মতিক্রমে পাশ হয়।

শাবাব মুস্তাফা সভার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার নিম্নোক্ত আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন।

  1. এনজিও বুরোর ব্যাপারে আলোচনা
  2. অর্থের বিনিময়ে সম্পাদনা
  3. ২০১৯ সালের অর্থ যোগান সম্পর্কিত আলোচনা
  4. একজন বোর্ড সদস্যের পদত্যাগ ও অংকনকে নিয়োগ প্রদান
  5. ২০১৯ সালের কার্যক্রমের পরিকল্পনা

সভার এ পর্যায়ে সভার সভাপতি, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ সুলতানকে ২০১৭ সালের কার্যবিবরণী পেশ করার আহ্বান জানান। নাহিদ সুলতান সভার সভাপতিকে ধন্যবাদ দিয়ে ২০১৭ সালের নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি উপস্থিত সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন।

কার্যক্রমের প্রতিবেদন ২০১৭ - উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

আড্ডা বা মিটআপ[সম্পাদনা]

মোট ১৩টি আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আড্ডাগুলো মূলত ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, কুমিল্লাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি আড্ডায় গড়ে ১০/১২ জন উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালা[সম্পাদনা]

সারাদেশে মোট ৮টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী সম্প্রদায় প্রথমবারের মত মাদ্রাসায় কর্মশালা করেছে। নারীদের নিয়ে বিশেষ কর্মশালা হয়েছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মশালা হয়েছে। তবে এর মধ্যে বিশেষ অর্জন ছিল, সুইডিশ দূতাবাসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্মশালা। যেখানে ইউএসএইড, আইন সালিশ কেন্দ্র, ব্রিটিশ হাইকমিশনসহ বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করা ২০টি প্রতিষ্ঠানের কর্মতকর্তাদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সুইডিশ রাষ্ট্রদূত সার্লোট্টা স্লাইটার কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

ফটোওয়াক[সম্পাদনা]

কুমিল্লা, রাজশাহী, লালমনিরহাট ও বরিশালে ফটোওয়াক অনুষ্ঠিত হয়।

অনলাইন এডিটাথন[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক নারী দিবস (৭০ নিবন্ধ), মুক্তিযুদ্ধ এডিটাথন, উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সপ্তাহ, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এডিটাথন, বাংলা ও আরব সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় এডিটাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উইকিউপাত্তের জন্য তিনটি এডিটাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিযোগিতা[সম্পাদনা]

ফেব্রুয়ারি-মার্চ নিবন্ধ প্রতিযোগিতা (২০০-এর বেশি নিবন্ধ ও ৭০০-এর বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে), এশীয় মাস (২৫০ নিবন্ধ) অনুষ্ঠিত হয়।

উইকি লাভস আর্থ[সম্পাদনা]

প্রতিযোগিতায় ৩২টি দেশের ৭ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী প্রায় ৯০ হাজার ছবির সেরা ১৫টি ছবির মধ্যে বাংলাদেশের আব্দুল মুমিনের তোলা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের একটি ছবি তৃতীয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে তার তোলা বন বাটনের অপর একটি ছবি অষ্টম এবং শাহেনশাহ বাপ্পির তোলা কাঠ শালিকের একটি ছবি ১২তম স্থান লাভ করেছে। গত বছর (২০১৭) একটি ছবি ১১-তে ছিল।

উইকি লাভস মনুমেন্টস[সম্পাদনা]

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস’ (ডব্লিউএলএম)-এ ৫৬টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের ৪টি আলোকচিত্র সেরা ১৫-তে স্থান করে নিয়েছে। আব্দুল মুমিনের তোলা রাজশাহীর প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট পুঠিয়া রাজবাড়ির পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দিরের একটি আলোকচিত্র চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। বায়তুল মোকাররমের একটি আলোকচিত্র পঞ্চম স্থান, বায়তুল মোকাররমের আরও একটি আলোকচিত্র একাদশ, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একটি ছবি পঞ্চদশ স্থান অর্জন করে। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে সেরা ১৫টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের আরও দুটি ছবি সতেরো ও একুশতম স্থানে রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ১০টি ছবির মধ্যে ৬টিই সেরা ২৫-এ স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে একটি বায়তুল মোকাররম ও অপরটি বরিশালের গুঠিয়া মসজিদ। গত বছর (২০১৭) দুটি ছবি পুরস্কার পেয়েছিল।

বিশেষ[সম্পাদনা]

  • কুমিল্লা সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা সম্প্রদায়ও প্রারম্ভিক ছোটখাট কিছু কিছু কাজ করছে।
  • সাঁওতালি উইকিপিডিয়া চালু হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠা উদযাপন করা হয়েছে।
  • বাংলা ভাষায় উইকিভ্রমণ চালু হয়েছে।
  • প্রথম আলো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সব লেখা উইকিতে দিয়েছে। তাদের সাথে সম্ভাব্য পার্টনারশীপ নিয়ে আলাপ চলছে।
  • অর্থের বিনিময়ে সম্পাদনা ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
  • উইকিপিডিয়া, বাংলা উইকিপিডিয়া ও উইকিউপাত্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কয়েকটি স্থানে পালিত হয়েছে।
  • ডট বাংলা ডোমেইন চালু করা হয়েছে।
  • গত বছর (২০১৭) একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লাতে ব্যানার নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
  • উইকিবার্তা, নামে নতুন একটি সাময়িকী প্রকাশ করা হচ্ছে। যার তিনটি সংখ্যা গত বছর প্রকাশিত হয়েছে।
  • বিমানবাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে থাকা সব ছবি উইকিমিডিয়া কমন্সে দান করেছে।

সংগঠনের আর্থিক বিবরণী - ২০১৭[সম্পাদনা]

[এই অংশ সংগঠন হিসেবে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আর্থিক বিবরণী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে প্রাপ্ত উইকিমিডিয়া প্রকল্প গ্র্যান্ট ও অন্য সংস্থা কর্তৃক স্পনসর করা অনুদানের বিবরণ এখানে যুক্ত হয়নি] কোষাধ্যক্ষ তানভির মোর্শেদ ২০১৭ সালের নিম্নোক্ত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন।

আমরা ২০১৮ সালে সদস্য ফি নেই নাই। মিউনিখ উইকিমিডিয়া সম্প্রদ্বায় আমাদের ডোনেশন দিয়েছে ১৭৪০০ টাকা। যার মধ্যে ১০ হাজার টাকা এনজিও বুরোতে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে অগ্রীম দেয়া হয়েছিল। ২৫’শত টাকা সাঁওতালি উইকিপিডিয়া চালু উদযান ও আপ্যায়ন বাবদ, ৮৬৫ টাকা সেপ্টেম্বরের একটি মিটআপে আপ্যায়ন বাবদ, নিবন্ধ প্রতিযোগিতার তিনটি পুরস্কার বাবদ ২৬’শত টাকা খরচ হয়েছে। অবশিষ্ট আছে ১৪৩৫ টাকা।

গত ডিসেম্বরে কেউ একজন অজ্ঞাতভাবে ব্যাংক একাউন্টে ৪৫০০ টাকা ডোনেশন পাঠিয়েছে। এছাড়া, ব্যাংক হিসাবে গত বছর (২০১৭) অবশিষ্ট ছিল ৯২৭ টাকা। মোট ৫ হাজার ৪২৭ যার মধ্যে একাউন্ট পরিচালনা বাবদ ৫৭৫ টাকা কেটে নিয়েছে। এখন একাউন্টে অবশিষ্ট আছে ৪ হাজার ৮৫২।

এছাড়া এক বছরে আমাদের কাছে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন থেকে বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে কোন আর্থিক অনুদান আসেনি। গত এক বছরে যত অনুষ্ঠান হয়েছে সব বোর্ড সদস্যদের কাছ থেকে ধার করে করা হয়েছে। এই বার্ষিক সাধারণ সভার অনুষ্ঠানটিসহ।