নির্বাহী পরিষদের বৈঠক/কার্যবিবরণী/বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০’র কার্যবিবরণী - ৮ এপ্রিল ২০২১

  • স্থান: অনলাইন (জুম)
  • নথি তৈরি করেছেন: অংকন ঘোষ দস্তিদার, সাধারণ সম্পাদক

২০২১ সালের ৮ এপ্রিল কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর অবস্থা বিবেচনাপূর্বক অনলাইনেে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় শুরু হয়। সভায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের ১৩ জন নিবন্ধিত সদস্য এতে যোগদান করেন। সভাপতি শাবাব মুস্তাফা অংশগ্রহণকারী সকলকে স্বাগত জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

অংকন ঘোষ দস্তিদার সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার নিম্নোক্ত আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন।

  1. স্বাগত বক্তব্য
  2. ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের কার্যবিবরণী পেশ
  3. ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের আর্থিক বিবরণী পেশ
  4. নির্বাহী পরিষদের নবায়ন
  5. ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা-বিষয়ক আলোচনা
  6. সমাপনী বক্তব্য

সাধারণ সম্পাদক অংকন ঘোষ দস্তিদার ২০১৯ সালের নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি উপস্থিত সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন। এর পূর্বে সভাপতি নিশ্চিত করেন যে সভার কোরাম পূর্ণ হয়েছে।

কার্যক্রমের প্রতিবেদন ২০১৯ - উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন[সম্পাদনা]

২৭ জানুয়ারি ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটে বাংলা উইকিপিডিয়ার ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে যাত্রা শুরু করে বাংলা উইকিপিডিয়া ২০১৯ সালের এই দিনে ১৬ বছরে পদার্পণ করলো। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন এবং উইকি আড্ডার আয়োজন করে। রাজশাহী উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে রাজশাহীতে কেক কেটে বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। সিলেট উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সিলেটের এমসি কলেজ চত্বরে বাংলা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এখানেও স্থানীয় উইকিপিডিয়ানগণ কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।

একুশে বাংলা উইকিপিডিয়া সমাবেশ[সম্পাদনা]

প্রতি বছরের মত ২০১৯ সালেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলা উইকিপিডিয়ানরা দেশের কয়েকটি স্থানে জড় হয়ে একুশের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণদের বাংলা উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধির আহ্বান জানান। উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ও এর স্থানীয় সম্প্রদায়সমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সমাবেশগুলো আয়োজন করে থাকে। ২০০৭ সাল থেকে এ সমাবেশটি আয়োজন করা হচ্ছে।

উইকি লাভস আর্থ ও উইকি লাভস মনুমেন্টস[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস আর্থ ২০১৯’ (ডব্লিউএলই)- ও ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস (ডব্লিউএলএম) ২০১৯’ এর বাংলাদেশ অংশের আয়োজন করে থাকে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ। ডব্লিউএলই-তে দেশের সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও এর জীববৈচিত্র্যের ছবি নিয়ে জুনে তৃতীয়বারেরমত প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ২৫৫ জন অংশগ্রহণকারী মোট ১৬৪১টি ছবি জমা দেয় এই প্রতিযোগিতায়। আর ডব্লিউএলএম প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিস্তম্ভ-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ থেকে ২১৫ জন অংশগ্রহণকারী দেশের স্থাপনার প্রায় ৪ হাজার ছবি এ প্রতিযোগিতায় জমা দেন।

উইকিক্যাম্প চট্টগ্রাম ২০১৯: বাংলাদেশের প্রথম উইকিক্যাম্প[সম্পাদনা]

২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে ‘উইকিক্যাম্প চট্টগ্রাম ২০১৯’ নামে একটি উইকিপিডিয়া অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় যা বাংলাদেশে এধরণের আয়োজনের মধ্যে প্রথম। এই পরীক্ষামূলক আয়োজনের উদ্দেশ্য পরবর্তীতে এটিকে একটি বার্ষিক জাতীয় উইকি সম্মেলনে রূপ দেয়া, যেখানে দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন ভাষার উইকিপিডিয়ানদের একত্রিত হবার সুযোগ থাকবে।

চট্টগ্রামে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের অফলাইন ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি, উইকিপিডিয়ানদের মধ্যেকার যোগাযোগ উন্নয়ন, জ্ঞান ভাগাভাগি এবং অভিজ্ঞ ও নবাগত উইকিমিডিয়ানদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি সর্বোপরি সম্প্রদায় চর্চা সম্প্রসারণে সহায়তা করা এবং বাংলাদেশে উইকিমিডিয়া আন্দোলনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম উইকিপিডিয়া সম্প্রদায় এই উইকিক্যাম্পের আয়োজন করে। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পূর্ব গ্যালারিতে অবস্থিত দ্য গ্যালারি রেস্তোরায় ১০ জন উইকিপিডিয়া স্বেচ্ছাসেবক দিনব্যাপী উইকিক্যাম্পে অংশ নেন। এতে উইকিমিডিয়ানদের মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব বৃদ্ধির পাশাপাশি, বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং অন্যান্য সংরক্ষিত স্থানসহ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও নিদর্শন সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় ২৮টি নিবন্ধ এবং উইকিউপাত্তে ২৮টি ভুক্তি তৈরি করা হয়।

সাঁওতালি উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব ও কর্মশালা[সম্পাদনা]

'সাঁওতালি উইকিপিডিয়া' হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন মুক্ত বিশ্বকোষ 'উইকিপিডিয়া'র সাঁওতালি ভাষার সংস্করণ। ২রা আগস্ট, ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হয় এই উইকিপিডিয়ার। এই উপলক্ষ্যে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আঞ্চলিক চ্যাপ্টার 'রাজশাহী উইকিপিডিয়া সম্প্রদায় 'ও 'সাঁওতালি উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়' প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব এবং একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে।

কর্মশালা[সম্পাদনা]

উপর্যুক্ত কার্যক্রম বাদে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মোট ৭টি কর্মশালা বা অনুরূপ কার্যক্রম আয়োজিত হয়েছে। ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বাগেরহাট জেলায় এসকল কর্মশালা আয়োজিত হয়।

সাংবাদিকদের জন্য উইকিপিডিয়া কর্মশালা

১১ মে ২০১৯ তারিখে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে সাংবাদিকদের জন্য উইকিপিডিয়া বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ১০ জন তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিক অংশ নেন।

নটর ডেম উইকি আলাপন ১.০

৭ ডিসেম্বর ঢাকার নটর ডেম কলেজে উন্মুক্ত বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া ও এর সহ-প্রকল্পসমূহের উপর একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। নটর ডেমের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই কর্মশালার পূর্বে "উইকিপিডিয়া ও বাংলাদেশ" বিষয়ে একটি কুইজ প্রতিযোগিতা এবং কুইজে উত্তীর্ণ ৬০ জনকে নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উইকিপিডিয়া ও এর সহ-প্রকল্পসমূহ সম্পর্কে ও এগুলোতে অবদান রাখার মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশের বিষয়বস্তু উইকিমিডিয়াতে সমৃদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এখানে। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে উইকিপিডিয়া ও সহ-প্রকল্পসমূহ ব্যবহার করে কীভাবে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতে পারেন সে বিষয়টিও আলোচনা করা হয়। কর্মশালাটি পরিচালনা করে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এবং এতে সহযোগিতা করেছে নটর ডেম আবৃত্তি দল।

চাঁদপুরে উইকিপিডিয়ার প্রথম কর্মশালা

২৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ঐ সময়ে সদ্য যাত্রা শুরু করা চাঁদপুর উইকিপিডিয়া সম্প্রদায় একটি কর্মশালার আয়োজন করে। চাঁদপুরের শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের অংশগ্রহণে উইকিপিডিয়ার এই কর্মশালায় উইকিপিডিয়া সম্পর্কে আলোচনা, উইকিপিডিয়ায় অবদান রাখা ও উইকিপিডিয়ার সহ-প্রকল্প মুক্ত ছবির ভাণ্ডার উইকিমিডিয়া কমন্সে ছবি যুক্ত করার মাধ্যমে কীভাবে চাঁদপুরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

নিবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০১৯[সম্পাদনা]

বাংলা উইকিপিডিয়ার নিবন্ধের সংখ্যা ও মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জুলাই ও আগস্ট দুই মাসব্যাপী চলমান বাৎসরিক নিবন্ধ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় সহযোগী হিসেবে ছিল জাগোনিউজ২৪.কম।

উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় তথ্য সমৃদ্ধ করা ও বাংলায় অলিখিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধগুলো অন্তর্ভুক্ত করাই ছিল এই প্রতিযোগিতার প্রধান উদ্দেশ্য। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলা উইকিপিডিয়ায় ৮০০ নতুন নিবন্ধ তৈরি হয়েছে। তৈরি হওয়া নিবন্ধগুলোর মধ্যে জীবনী ছাড়াও ইতিহাস, শিল্পকলা, তথ্যপ্রযুক্তি, দর্শন, ধর্ম-বিশ্বাস, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল, ভূগোল, ভূতত্ত্ব ও আবহবিদ্যা, সমাজ, সামাজিক সমস্যা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সাহিত্য, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ রয়েছে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬০টির বেশি জীবনীভিত্তিক নতুন নিবন্ধও যুক্ত হয়েছে।

বাংলা উইকিপিডিয়ার পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে বাংলা উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭০%। ১,৩১২ জন প্রতিযোগিতার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন যার মধ্যে ৯৫% একেবারে নতুন হিসেবে বাংলা উইকিপিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন। ট্রাফিক পরিসংখ্যান অনুসারে এসময়ে বাংলা উইকিপিডিয়ার পাঠকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৮%। জুনে বাংলা উইকিপিডিয়া পড়া হয়েছে ১৭ মিলিয়ন বার, কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষে এ সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৩ মিলিয়নে।

এডিটাথন[সম্পাদনা]

উইকিগ্যাপ, মানবাধিকারের পক্ষে উইকি, এবং উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সপ্তাহ শীর্ষক মোট তিনটি এডিটাথন আয়োজিত হয় এ বছরে। বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক শূন্যতা দূরের জন্য এ সকল এডিটাথন আয়োজিত হয়। যেমন সুইডিশ দূতাবাস এবং উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে মে মাসে ১৫ দিনব্যাপী উইকিগ্যাপ এডিটাথনের লক্ষ্য ছিল বাংলা উইকিপিডিয়ায় জেন্ডারভিত্তিক অসমতা দূরীকরণ। আর মানবাধিকার বিষয়ক নিবন্ধাবলী উন্নত করার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে উইকি এডিটাথন আয়োজিত হয়।

উইকি আড্ডা[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে মোট ১২টি আড্ডা আয়োজিত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, চাঁদপুর ইত্যাদি স্থানে এ সকল আড্ডা আয়োজন করা হয়।

অনলাইন সাময়িকী: উইকিবার্তা[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের অনলাইন ম্যাগাজিন উইকিবার্তার মোট ৩টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উইকিমিডিয়ানদের লেখা, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি বিভাগে নানাবিধ প্রবন্ধ ও সংবাদ নিয়েই উইকিবার্তা প্রকাশিত হয়।

উইকিবার্তা: https://wikibarta.wikimedia.org.bd/

সংগঠনের আর্থিক বিবরণী - ২০১৯[সম্পাদনা]

[এই অংশ সংগঠন হিসেবে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আর্থিক বিবরণী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে প্রাপ্ত উইকিমিডিয়া প্রকল্প গ্র্যান্ট ও অন্য সংস্থা কর্তৃক স্পনসর করা অনুদানের বিবরণ এখানে যুক্ত হয়নি]

কোষাধ্যক্ষ তানভির মোর্শেদ ২০১৯ সালের নিম্নোক্ত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন।

ডাব্লুএমবিডির উপার্জন ও ব্যয়ের হিসাব (২০১৯)
ক্রমিক বিবরণ প্রাপ্তি (টাকা) পূর্বের উদ্বৃত্ত প্রদত্ত খরচ (টাকা) উদ্বৃত্ত (টাকা) টাকা প্রাপ্তির রশিদ আছে (হ্যাঁ/না)
সদস্য ফি ৩৩,১০০ ৪,৮৫২ ৩৭,৯৫২ হ্যাঁ
বাংলা উইকিপিডিয়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ৫,২০০ ৩২,৭৫২ হ্যাঁ
বার্ষিক সাধারণ সভা ১৫,৫০০ ১৭,২৫২ হ্যাঁ
একুশে উইকি সম্মিলন ১,২০০ ১৬,০৫২ না
নিবন্ধ প্রতিযোগিতা, প্রশাসনিক ব্যয় ১০,১৩০ ৫,৯২২ হ্যাঁ
নটর ডেম কর্মশালা (২) ২,৫৩০ ৩,৩৯২ হ্যাঁ
সাংবাদিকদের জন্য কর্মশালা (বই ক্রয়) ১,৪০০ ১,৯৯২ হ্যাঁ
অন্যান্য ২,৮০০ −৮০৮ না
মোট ৩৩,১০০ ৪,৮৫২ ৩৮,৭৬০ -৮০৮

বিবিধ আলোচনা[সম্পাদনা]

  • ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সুব্রত রায়ের নিয়োগ সদস্যগণ বিনা আপত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।
  • যেহেতু কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী সংক্রান্ত জটিলতায় ২০২০ সালে বার্ষিক সাধারণ সভা করা সম্ভব হয়নি তাই আজকের বিলম্বিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতি শাবাব মুস্তাফা ২০১৮-১৯ সালের নির্বাহী পরিষদ বহাল রাখার প্রস্তাব করেন এবং উপস্থিত সদস্যগণ তা বিনা আপত্তিতে গ্রহণ করেন এবং ২০২০-২০২১ সালের মেয়াদে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাহী পরিষদকে উপস্থাপন করার স্বীকৃতি প্রদান করেন।
  • সুব্রতাকে নির্বাহী পরিষদে স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত বিভিন্ন সদস্য বক্তব্য প্রদান করেন।
  • নাহিদ সুলতান সামনে উইকি লাভস মনুমেন্টস ও উইকি লাভস আর্থ আয়োজনের সীমাবদ্ধতাগুলো সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন। যেমন: বিগত কয়েক বছর ধরে এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে আমরা অনেক নতুন ছবি পেয়েছি তবে ছবি তোলার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ নতুন কোনো আইটেম বাকি নেই। তাই নতুন করে এগুলো আয়োজন করলে তাতে নতুনত্ব আসার সম্ভাবনা বেশ কম।
  • উইকি লাভস মনুমেন্টস ও উইকি লাভস আর্থের বিকল্প প্রোগ্রাম
    • "উইকি (?) ভালোবাসে"—এই ধারণায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এধরনের প্রকল্প আয়োজন করা যেতে পারে।
    • শাবাব মুস্তাফা "উইকি লাভস বাংলাদেশ" ধারণায় প্রতি বছর আলাদা বিষয় নিয়ে সিরিজ আকারে আয়োজন করার আইডিয়া তুলে ধরেন। প্রস্তাবিত আইডিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে: নদী, পাখি, পিঠা-মিষ্টান্ন, নৌকা/নৌকার জীবন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ছবি।
    • বিকল্প হিসেবে ঐতিহ্যের কোনো বিষয় নির্বাচন করা হলে চাইলে একাধিক বিষয় নিয়ে একসাথে আয়োজন করা যেতে পারে।
  • মাসুম আল হাসান বাংলাদেশে উইকি শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
    • আফিফা আফরিন বাংলাদেশের স্কুল কলেজে যে সকল শিক্ষার্থীর যে কম্পিউটার/ল্যাপটপ/ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই সেই বিষয়টি তুলে ধরেন এবং এটি উইকি শিক্ষা কার্যক্রমে একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বলে মত দেন।
    • শাবাব মুস্তাফা এ ধরনের সমস্যার গভীরতা বুঝতে একটি পাইলট চালানোর পক্ষে মত দেন এবং যে আশা প্রকাশ করেন এর ফলে আসলে এটি কতেটুকু প্রতিবন্ধকতা/জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তবে তিনি আরও বলেন যে, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোনো বিভাগ/অনুষদ নিয়ে কাজ করা যেতে পারে যাদের ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় রিসোর্স রয়েছে।
    • উইকি শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রদানকৃত অ্যাসাইনমেন্টের মানদণ্ড কে ঠিক করবেন সেই প্রশ্নটি আফিফা আফরিন করেন। উত্তরে শাবাব মুস্তাফা জানান যে, মোটা দাগে মানদণ্ড ঠিক করার দায়িত্ব শিক্ষকের উপর বর্তালেও, উইকির গ্রহণযোগ্য বিশ্বকোষীয় মানদণ্ড নিশ্চিত করার উপর জোর দেন।
    • আফিফা আফরিন প্রশ্ন করেন যে কেউ যদি যথেষ্ট পরিমাণ তথ্যসূত্র না পান বা লেখার বিষয় খুঁজে না পান সেক্ষেত্রে কীভাবে সাহায্য করা যেতে পারে? এছাড়াও এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কী না (যেমন গ্রেডিং ও মার্কিংয়ের বাধ্যবাধকতা কারণে তার অ্যাকাডেমিক অর্জনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে) সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার উপর জোর দেন। এছাডা তিনি একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে ভালো কাজ অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে জমাদানের সুযোগ প্রদানের আইডিয়া দেন।
    • অংকন ঘোষ জানান যে বুয়েটে এ ধরনের একটি প্রকল্প পাইলট হিসেবে চলমান এবং সেই কার্যক্রমের একটি ধারণা সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি এটিও জানান যে, এই পাইলটে এখন পর্যন্ত ১৪৪ জন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ও ২৫-২৬টি নিবন্ধ বাংলা উইকিপিডিয়ায় যুক্ত হয়েছে। তিনি এটিও জানান যে, এটি তাদের গ্রেডিংয়ে কোনো প্রভাব ফেলে না, বরং এটি একটি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি হিসেবে পরিগণিত হয়। তিনি মত প্রকাশ করেন যে, শিক্ষকগণ তাদের গৃহীত মার্কিং/গ্রেডিং সিস্টেম ভাঙতে অপারগ তাই হয়তো এ ধরনের কোনো কার্যক্রমে মার্কিং/গ্রেডিংয়ের সুযোগ থাকবে না। মাসুম-আল-হাসান রকিও এই মতের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি নিজের একই ধরনের অভিজ্ঞতা হওয়ার বিষয়টি জানান এবং এধরনের কাজে প্রতিষ্ঠানের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমস্যাটিও তুলে ধরেন।
  • অংকন ঘোষ উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের অনলাইন কর্মশালার কার্যক্রমের বিষয়ে সদস্যর অবহিত করেন। তিনি সদস্যদের জানান যে, কর্মশালায় অংশগ্রহণকৃতদের ৯০% জানতেন-ই না যে উইকিপিডিয়াতে যে-কেউ অবদান রাখতে পারেন।
  • শাবাব মুস্তাফা উইকিপিডিয়ায় অবদানের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়ালের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন ও এ বিষয়ে যে সম্প্রদায়ের অনেকের যে অনুরোধ ও দাবি রয়েছে সেটি জানান।
  • বাংলা উইকিপিডিয়ায় জেন্ডারগ্যাপ কমানোর দিকে জোর দেন এবং জানান যে বিভিন্ন নিবন্ধ প্রতিযোগিতায় নারী অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং নারী ব্যবহারকারীদের উইকিপিডিয়ায় ধরে রাখার ক্ষেত্রে জোর দেন।
  • মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন সাংবাদিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উইকিপিডিয়া সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন অনলাইন কর্মশালা/মিট আয়োজনের প্রস্তাব করেন। তিনি জানান যে, আইসিটি সাংবাদিকদের মধ্যে উইকিপিডিয়ার বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। তিনি আরও জানান যে, বার্ষিক সাধারণ সভার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেসকল সদস্যদের ফোন নম্বর রয়েছে তাদেরকে এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
    • মঈনুল ইসলাম জনাব কাওছার উদ্দীনকে অনুরোধ করেন যে, সাংবাদিক হিসেবে উইকিপিডিয়া বিষয়ে কী ধরনের তথ্য সাংবাদিকরা আশা করেন বা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন সে বিষয়ে তিনি যেনো উইকিমিডিয়া বাংলাদেশকে অবহিত করেন। শাবাব মুস্তাফা জনাব কাওছার উদ্দীনকে এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন এবং এও জানান যে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এ ধরনের কাজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি ভবিষ্যতে এ বিষয় কোনো কর্মশালা আয়োজনের বিষয়ে তার সাথে বা নাহিদ সুলতানের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করেন।

সমাপনী বক্তব্য[সম্পাদনা]

সভার সভাপতি শাবাব মুস্তাফা সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।