নির্বাহী পরিষদের বৈঠক/কার্যবিবরণী/বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১’র কার্যবিবরণী - ২৩ নভেম্বর ২০২১

  • স্থান: অনলাইন (জুম)
  • নথি তৈরি করেছেন: অংকন ঘোষ দস্তিদার, সাধারণ সম্পাদক

২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর অবস্থা বিবেচনাপূর্বক অনলাইনেে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় শুরু হয়। সভায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের ১৪ জন নিবন্ধিত সদস্য এতে যোগদান করেন। সভাপতি তানভির রহমান অংশগ্রহণকারী সকলকে স্বাগত জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং শাবাব মুস্তাফাকে সঞ্চালনার দায়িত্ব প্রদান করেন।

অংকন ঘোষ দস্তিদার সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার নিম্নোক্ত আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন।

  1. স্বাগত বক্তব্য
  2. ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের কার্যবিবরণী পেশ
  3. ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের আর্থিক বিবরণী পেশ
  4. উইকিবার্তার প্রকাশ
  5. আউটরিচ টিম গঠনের পরিকল্পনা/প্রস্তাব
  6. ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা-বিষয়ক আলোচনা
  7. সমাপ্তি

সাধারণ সম্পাদক অংকন ঘোষ দস্তিদার ২০২০ সালের নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি উপস্থিত সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন।

কার্যক্রমের প্রতিবেদন ২০২০ - উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

২০২০ সাল কোভিড-১৯ অতিমারী বিভিন্ন স্তরে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। এই সময়ে জনসম্পৃক্ততামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা মোটেই নিরাপদ ছিল না। জনসাধারণ, সম্প্রদায়ের সদস্য এবং সংগঠকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ১৪ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের জনসম্পৃক্ততামূলক কার্যক্রম বাতিল করে। তবুও ধীরে ধীরে অনলাইনে সীমিত পরিসরে আমাদের কার্যক্রম চালু করা হয়, যা পূর্বে অফলাইনে হতো। অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা এবং অন্যান্য কার্যক্রম।

একুশে বাংলা উইকিপিডিয়া সমাবেশ[সম্পাদনা]

প্রতি বছরের মত ২০২০ সালেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলা উইকিপিডিয়ানরা দেশের কয়েকটি স্থানে জড় হয়ে একুশের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণদের বাংলা উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধির আহ্বান জানান। উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ও এর স্থানীয় সম্প্রদায়সমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সমাবেশগুলো আয়োজন করে থাকে। এবারে ঢাকা, চাঁদপুর, এবং খুলনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উইকি লাভস আর্থ ও উইকি লাভস মনুমেন্টস[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস আর্থ ২০১৯’ (ডব্লিউএলই)- ও ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস (ডব্লিউএলএম) ২০২০’ এর বাংলাদেশ অংশের আয়োজন করে থাকে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ। ডব্লিউএলই-তে দেশের সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও এর জীববৈচিত্র্যের ছবি নিয়ে জুনে চতুর্থবারেরমত প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ৩০৩ জন অংশগ্রহণকারী মোট ১৮৯২টি ছবি জমা দেয় এই প্রতিযোগিতায়। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত ছবি প্রথম, তৃতীয়, সপ্তম, এবং পঞ্চদশ অবস্থান লাভ করে। আর ডব্লিউএলএম প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিস্তম্ভ-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ থেকে ৮৩ জন অংশগ্রহণকারী দেশের স্থাপনার প্রায় ১২০৬টি ছবি এ প্রতিযোগিতায় জমা দেন।

কর্মশালা[সম্পাদনা]

২০২০ সালের আগে, সমস্ত কর্মশালা বিভিন্ন সংস্থা এবং ক্লাবের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে অফলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে আয়োজিত হতো। কিন্তু ২০২০ সালে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলা উইকিপিডিয়ার বেশিরভাগ অবদানকারী শিক্ষার্থী, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মশালার মতো আউটরিচ ইভেন্টগুলি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিমারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ২০২০ সালে একেবারেই খোলা হয়নি। তবুও, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তিনটি কর্মশালার আয়োজন করতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে, দুটি কর্মশালা পরে বর্ণনা করা হবে যেহেতু তারা একটি স্বতন্ত্র কর্মশালার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিল।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম অনলাইন কর্মশালা

১০ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে “উইকিপিডিয়া: কী, কেন, কীভাবে” শীর্ষক অনলাইন কর্মশালা আয়োজিত হয়। বুয়েট এনার্জি ক্লাবের সহযোগিতায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত তিনঘণ্টাব্যাপী এ কর্মশালায় ২৫জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এই কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীদের মাধ্যমে উইকিপিডিয়ায় প্রকৌশল-বিষয়ক নিবন্ধ-সংখ্যা বৃদ্ধি করা। একইসাথে উইকি এডুকেশন কার্যক্রম পরিচালনার প্রথম ধাপ হিসেবে এই কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা-পরবর্তী কার্যক্রমে ১১জন অংশগ্রহণকারী ২৫টি প্রকৌশলবিষয়ক নিবন্ধ তৈরি করে। তাদের সবাই ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০জনই ছিলেন নবাগত। তাদেরকে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ই-সনদপত্র প্রদান করা হয়।

নটর ডেম কলেজ-কর্মশালা ও এডিটাথন

১৩ নভেম্বর নটর ডেম কলেজে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ও নটর ডেম ইংরেজি ক্লাবের যৌথ আয়োজনে অনলাইনে নটর ডেম কর্মশালা ও এডিটাথন আয়োজিত হয়। কর্মশালায় মোট ৭৫জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কর্মশালায় বিশ্বের বৃহত্তম এ বিশ্বকোষে কিভাবে অবদান রাখা যায় সেবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মশালায় একইসাথে নতুন নিবন্ধ তৈরির ধাপগুলো হাতে-কলমে দেখানো হয়।

কর্মশালার পরবর্তীতে সপ্তাহব্যাপী এডিটাথন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচিত তালিকাভুক্ত নিবন্ধ থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন নিবন্ধ তৈরি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১০৬টি নতুন নিবন্ধ তৈরি হয়, যা থেকে পর্যালোচকেরা ৮০টি নিবন্ধকে গ্রহণ করেন। সর্বোচ্চ নিবন্ধ তৈরি করেন জুবায়ের হোসেন (১৮টি)। শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে এডিটাথন এবং কর্মশালায় সফলভাবে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।

উইকিউপাত্তের অষ্টম জন্মদিন উদযাপন[সম্পাদনা]

উইকিমিডিয়ার অন্যতম প্রকল্প উইকিউপাত্ত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ অক্টোবর নবম বর্ষে পা রাখে। এর অষ্টম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ধারাবাহিক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। চলমান বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অধিকাংশ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় অনলাইনে।

বিশেষ এ দিন পালনে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ আয়োজন করে প্রথম উইকিউপাত্তের কর্মশালার। ‘উইকিউপাত্তে হাতেখড়ি’-শীর্ষক এ কর্মশালায় প্রায় ১৫জন অংশগ্রহণ করেন। উইকিউপাত্তে কিভাবে অবদান রাখা যেতে পারে, সে বিষয়ে একেবারে শুরু থেকে আলোচনা করেন কর্মশালার পরিচালক উইকিউপাত্তের প্রশাসক মাহির মোরশেদ। অষ্টম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কর্মশালার পরবর্তীতে সপ্তাহব্যাপী চলচ্চিত্র ডাটাথন অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলা চলচ্চিত্র বিষয়ে উইকিউপাত্তে তথ্য বৃদ্ধি করা। উল্লেখ্য, উইকিপিডিয়ার মত এখানেও যে-কেউ অবদান রাখতে পারেন আর বিভিন্ন তথ্য যোগ করে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারেন। প্রায় ৯জন এ ডাটাথনে অংশগ্রহণ করেন, যাদের উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে ই-সনদপত্র প্রদান করা হবে।

২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ অক্টোবর উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন নতুন প্রকল্প হিসেবে উইকিউপাত্ত (ইংরেজিতে উইকিডেটা) চালু করে। এটা মূলত উন্মুক্ত তথ্যের এক বিশাল ভাণ্ডার। বিভিন্ন ভাষাভাষীর উইকির আন্তঃসংযোগ উইকিউপাত্তের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। শুরুর পর থেকেই ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই প্রকল্পটি। অ্যালেন ইনস্টিটিউট ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, গর্ড অ্যান্ড বেটি মুর ফাউন্ডেশন, গুগল প্রভৃতি সংস্থাসমূহের অর্থায়নে শুরু থেকেই উইকিমিডিয়া ডয়েচল্যান্ড প্রকল্পটির উন্নয়নের মূল কাজটি করে চলছে।

এডিটাথন[সম্পাদনা]

কোভিড-১৯ অতিমারীতে বাংলা উইকিপিডিয়ার বিশেষ এডিটাথন

কোভিড-১৯ ভাইরাসের মহামারীতে জনসাধারণকে বাড়িতে থাকতে উৎসাহিত করতে এবং এই সময়টিকে কার্যকরভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বাংলা উইকিপিডিয়ায় শুরু হয়েছে বিশেষ এডিটাথন। এডিটাথনটি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসজুড়ে চলে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ রোধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে বাড়িতে অর্থাৎ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। হোম কোয়ারেন্টাইনের এই সময়কে গঠনমূলক কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহ দিতে মূলত এই এডিটাথনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় যে সমস্ত নিবন্ধ আছে, কিন্তু বাংলা উইকিপিডিয়ায় নেই, সে সমস্ত নিবন্ধই শুধুমাত্র এডিটাথনে তৈরী করা হয়। নিবন্ধের শব্দসংখ্যা হতে হতো কমপক্ষে ১,০০০টি। এডিটাথনে মোট ৪৫ জন অংশগ্রহণকারী ২২৩টি নিবন্ধে কাজ করে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস এডিটাথন ২০২০

পাখি সম্পর্কিত বিষয়বস্তু বাড়ানোর জন্য ৫ জুন একদিনব্যাপী এডিটাথনের আয়োজন করা হয়। একদিনে মোট ২০টি নিবন্ধ তৈরি হয়।

ওপেন অ্যাক্সেস এডিটাথন ২০২০

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ১৯-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলা বাংলা উইকিপিডিয়ায় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহ ব্যাপী এডিটাথনের আয়োজন করে। এর লক্ষ্য ছিল ওপেন অ্যাক্সেস সম্পর্কিত বিষয়বস্তু বৃদ্ধি করা এবং সেইসাথে বাংলা উইকিপিডিয়ায় বিদ্যমান বিষয়বস্তুর মান বৃদ্ধি করা।

লক্ষ্য এবার লক্ষ এডিটাথন

বাংলা উইকিপিডিয়া ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখ এক লক্ষ নিবন্ধের মাইলফলক অতিক্রম করে। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৩০০’রও অধিক ভাষায় পরিচালিত উইকিপিডিয়ার মধ্যে ৬৯তম হিসেবে বাংলা উইকিপিডিয়া এই মাইলফলক অতিক্রম করে (২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত)। যাত্রার প্রথম ১৩ বছরের মাথায় (৩০ এপ্রিল ২০১৭) বাংলা উইকিপিডিয়ায় ৫০ হাজার নিবন্ধ তৈরি হলেও পরের ৫০ হাজার নিবন্ধ তৈরি হতে সময় নেয় তিন বছর।

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে এই মাইলফলক অতিক্রমের লক্ষ্যে বাংলা উইকিপিডিয়ায় ‘লক্ষ্য এবার লক্ষ’ নামক একটি বিশেষ অনলাইন এডিটাথনের আয়োজন করা হয়। এডিটাথনটি ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত চলমান ছিল। এডিটাথনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো ২০২১-এর ২৭ জানুয়ারি তারিখ বাংলা উইকিপিডিয়ার ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পূরণের আগেই নিবন্ধের মানের বিষয়টি খেয়াল রেখে নিবন্ধ-সংখ্যা এক লক্ষতে উন্নীত করা।

এডিটাথনে প্রায় ৪০০ জন নিবন্ধিত নতুন এবং পুরাতন ব্যবহারকারী অংশ নিয়ে ১৬৫৬টি নিবন্ধ তৈরি করেন। নিবন্ধ তৈরি ও সম্প্রসারণ করে জমা দেওয়ার জন্য তথ্যছক, চিত্র ও বুলেট তালিকাব্যতীত মূল নিবন্ধ ন্যূনতম ৩০০ শব্দ এবং ৬ হাজার বাইটের নিবন্ধ জমা দেওয়ার শর্তারোপ করা হয়। পুরাতন ব্যবহারকারীর পাশাপাশি অনেক নতুন ব্যবহারকারী এই এডিটাথনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নিবন্ধ তৈরি করেন। বিশেষ এই এডিটাথনে মোট ৭টি বিষয়ের ওপর নিবন্ধ তৈরির জন্য নিবন্ধের তালিকা করা হয়। উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়ের মধ্যে ছিলো ইতিহাস, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, ভূগোল, খেলাধুলা। ভূগোল বিষয় ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ের ওপর নিবন্ধ তৈরির জন্য সময়সীমা ছিলো ১৫ দিন করে, যদিও ভূগোল বিষয়ের ওপর সেটি ছিলো ৩০ দিন। নিবন্ধের তালিকা তৈরি, নতুন বিষয় নির্ধারণ, নিবন্ধ পর্যালোচনা করা এবং মানসম্মত নিবন্ধ গ্রহণে সহায়তা করেছেন প্রায় ১৫ জন অভিজ্ঞ উইকিপিডিয়ান। এডিটাথনে তৈরি নিবন্ধগুলোর মধ্যে যান্ত্রিক অনুবাদ ও ত্রুটিমুক্ত নিবন্ধগুলোই পর্যালোচক কর্তৃক গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বাধিক ৫০৩টি নিবন্ধ তৈরি হয় ভূগোল উপ-এডিটাথনে।

সংগঠনের আর্থিক বিবরণী - ২০২০[সম্পাদনা]

[এই অংশ সংগঠন হিসেবে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আর্থিক বিবরণী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে প্রাপ্ত উইকিমিডিয়া প্রকল্প গ্র্যান্ট ও অন্য সংস্থা কর্তৃক স্পনসর করা অনুদানের বিবরণ এখানে যুক্ত হয়নি]

ক্রমিক বিবরণ প্রাপ্তি (টাকা) পূর্বের উদ্বৃত্ত প্রদত্ত খরচ (টাকা) উদ্বৃত্ত (টাকা) টাকা প্রাপ্তির রশিদ আছে (হ্যাঁ/না)
প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত -৮০৮ -৮০৮
সদস্য ফি -৮০৮
মোট -৮০৮ -৮০৮

বিবিধ আলোচনা[সম্পাদনা]

  • অংকন ঘোষ দস্তিদার ও শাবাব মুস্তাফা উইকিবার্তার প্রকাশিত সংস্করণ নিয়ে আলোচনা করেন।
  • শাবাব মুস্তাফা আউটরিচ টিম গঠনের পরিকল্পনা/প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং আলোচনা করেন।
    • হান্নান পূর্বপ্রস্তুতি নেয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপ্রদান করার ক্ষেত্রে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন
    • গৌতম রায় প্রশিক্ষণের সুনির্দিষ্ট কাঠামো তৈরির পরামর্শ দেন। ট্রেইন দ্য ট্রেইনার ধাঁচের কার্যক্রম আয়োজন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে সামনে কাজ করার ব্যাপারে একমত হন সদস্যরা।
  • সঞ্চালক শাবাব মুস্তাফা উইকিসম্পর্কিত ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান।
    • অন্যান্য সহপ্রকল্প নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান আশিক শাওন
    • ভ্রমণপিপাসী দলের ব্যক্তিদের উইকিভ্রমণ বা এরকমভাবে ভাগ করে কাজ করার আহ্বান জানান রাফি। সমস্যাগুলো গুছিয়ে তুলে ধরার কথাও বলেন তিনি। শাবাব এ সংশ্লিষ্ট সমস্যা বা সম্ভাবনা তুলে ধরেন। গৌতম রায়ও সমর্থন জানান সমস্যাগুলোর দিকের সাথে।
    • অফলাইন কার্যক্রম ধীরে ধীরে শুরু করার প্রস্তাব দেন তানভির মোর্শেদ।
    • মঈনুল ইসলাম আঞ্চলিক পর্ষদকে পুনরীজ্জিবীত করার প্রস্তাব দেন।

সমাপনী বক্তব্য[সম্পাদনা]

সভার সঞ্চালক শাবাব মুস্তাফা সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাত ৯টায় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।