নির্বাহী পরিষদের বৈঠক/কার্যবিবরনী/বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৯

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন


বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৯’র কার্যবিবরণী - ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯

  • স্থান: ফ্রেপড মিলনায়তন, ঢাকা, বাংলাদেশ
  • নথি তৈরি করেছেন: নাহিদ সুলতান, সেক্রেটারি

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে পলাশীর ফ্রেপড মিলনায়তনে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা বিকাল ৩ ঘটিকায় শুরু হয়। সভায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের ১৩ জন নিবন্ধিত সদস্য সশরীরে এবং ২ জন সদস্য অনলাইনে যোগদান করেন।

সভার শুরুতে সাধারন সম্পাদক নাহিদ সুলতান সংগঠনের সভাপতি শাবাব মুস্তাফাকে সভাপতি হিসেবে সভা পরিচালনার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে সর্ব সম্মতিক্রমে পাশ হয়।

শাবাব মুস্তাফা সভার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার নিম্নোক্ত আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন।

  1. ২০১৮ সালে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের বিবরণী পেশ
  2. ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আর্থিক বিবরণী পেশ
  3. এনজিও বুরোতে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের কাগজপত্র হালনাগাদ
  4. ২০১৯ সালের সম্ভাব্য কার্যক্রম ও বাজেট আলোচনা
  5. ২০১৯ সালে আর্থিক খাত কী হবে সে বিষয়ে আলোচনা
  6. অর্থের বিনিময়ে উইকিমিডিয়া সম্পাদনা সংক্রান্ত আলোচনা
  7. ২০১৮ সালে নিয়মিত সদস্য ও বোর্ড সদস্য নুরন্নবী চৌধুরীর পদত্যাগ এবং অংকন ঘোষ দস্তিদারকে নতুন সদস্য হিসেবে বোর্ডে নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা
  8. বিবিধ আলোচনা
  9. ধন্যবাদ জ্ঞাপন

সভার এ পর্যায়ে সভার সভাপতি, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ সুলতানকে ২০১৮ সালের কার্যবিবরণী পেশ করার আহ্বান জানান। নাহিদ সুলতান সভার সভাপতিকে ধন্যবাদ দিয়ে ২০১৮ সালের নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি উপস্থিত সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন।

কার্যক্রমের প্রতিবেদন ২০১৮ - উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

  • আড্ডা বা মিটআপ: মোট ১৩টি আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আড্ডাগুলো মূলত ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, কুমিল্লাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি আড্ডায় গড়ে ১০/১২ জন উপস্থিত ছিলেন।
  • কর্মশালা: সারাদেশে মোট ৮টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী সম্প্রদায় প্রথমবারের মত মাদ্রাসায় কর্মশালা করেছে। নারীদের নিয়ে বিশেষ কর্মশালা হয়েছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মশালা হয়েছে। তবে এর মধ্যে বিশেষ অর্জন ছিল, সুইডিশ দূতাবাসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্মশালা। যেখানে ইউএসএইড, আইন সালিশ কেন্দ্র, ব্রিটিশ হাইকমিশনসহ বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করা ২০টি প্রতিষ্ঠানের কর্মতকর্তাদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সুইডিশ রাষ্ট্রদূত সার্লোট্টা স্লাইটার কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
  • ফটোওয়াক: কুমিল্লা, রাজশাহী, লালমনিরহাট ও বরিশালে ফটোওয়াক অনুষ্ঠিত হয়।
  • অনলাইন এডিটাথন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস (৭০ নিবন্ধ), মুক্তিযুদ্ধ এডিটাথন, উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার সপ্তাহ, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এডিটাথন, বাংলা ও আরব সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় এডিটাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উইকিউপাত্তের জন্য তিনটি এডিটাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
  • প্রতিযোগিতা: ফেব্রুয়ারি-মার্চ নিবন্ধ প্রতিযোগিতা (২০০-এর বেশি নিবন্ধ ও ৭০০-এর বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে), এশীয় মাস (২৫০ নিবন্ধ)।
  • উইকি লাভস আর্থ: প্রতিযোগিতায় ৩২টি দেশের ৭ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী প্রায় ৯০ হাজার ছবির সেরা ১৫টি ছবির মধ্যে বাংলাদেশের আব্দুল মুমিনের তোলা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের একটি ছবি তৃতীয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে তার তোলা বন বাটনের অপর একটি ছবি অষ্টম এবং শাহেনশাহ বাপ্পির তোলা কাঠ শালিকের একটি ছবি ১২তম স্থান লাভ করেছে। গত বছর (২০১৭) একটি ছবি ১১-তে ছিল।
  • উইকি লাভস মনুমেন্টস: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস’ (ডব্লিউএলএম)-এ ৫৬টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের ৪টি আলোকচিত্র সেরা ১৫-তে স্থান করে নিয়েছে। আব্দুল মুমিনের তোলা রাজশাহীর প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট পুঠিয়া রাজবাড়ির পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দিরের একটি আলোকচিত্র চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। বায়তুল মোকাররমের একটি আলোকচিত্র পঞ্চম স্থান, বায়তুল মোকাররমের আরও একটি আলোকচিত্র একাদশ, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একটি ছবি পঞ্চদশ স্থান অর্জন করে। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে সেরা ১৫টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের আরও দুটি ছবি সতেরো ও একুশতম স্থানে রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ১০টি ছবির মধ্যে ৬টিই সেরা ২৫-এ স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে একটি বায়তুল মোকাররম ও অপরটি বরিশালের গুঠিয়া মসজিদ। গত বছর (২০১৭) দুটি ছবি পুরস্কার পেয়েছিল।

বিশেষ:

  • কুমিল্লা সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা সম্প্রদায়ও প্রারম্ভিক ছোটখাট কিছু কিছু কাজ করছে।
  • সাঁওতালি উইকিপিডিয়া চালু হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠা উদযাপন করা হয়েছে।
  • বাংলা ভাষায় উইকিভ্রমণ চালু হয়েছে।
  • প্রথম আলো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সব লেখা উইকিতে দিয়েছে। তাদের সাথে সম্ভাব্য পার্টনারশীপ নিয়ে আলাপ চলছে।
  • অর্থের বিনিময়ে সম্পাদনা ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
  • উইকিপিডিয়া, বাংলা উইকিপিডিয়া ও উইকিউপাত্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কয়েকটি স্থানে পালিত হয়েছে।
  • ডট বাংলা ডোমেইন চালু করা হয়েছে।
  • গত বছর (২০১৭) একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লাতে ব্যানার নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
  • উইকিবার্তা, নামে নতুন একটি সাময়িকী প্রকাশ করা হচ্ছে। যার তিনটি সংখ্যা গত বছর প্রকাশিত হয়েছে।
  • বিমানবাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে থাকা সব ছবি উইকিমিডিয়া কমন্সে দান করেছে।

প্রতিবেদনটি পেশ করার পর সভার সদস্যগণের কাছে কোন প্রশ্ন আছে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে উপস্থিত সদস্যগণ কোন প্রশ্ন নেই বলে জানান এবং প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান। পরে কণ্ঠ ভোটে প্রতিবেদনটি পাশ হয়।

কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশের পর সভাপতি, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ তানভির মোর্শেদকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের আর্থিক বিবরণী পেশেরে অনুরোধ করেন। তানভির মোর্শেদ সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিম্নোক্ত আর্থিক বিবরণীটি সভায় পেশ করেন।

সংগঠনের আর্থিক বিবরণী - ২০১৮[সম্পাদনা]

[এই অংশ সংগঠন হিসেবে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের আর্থিক বিবরণী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে প্রাপ্ত উইকিমিডিয়া প্রকল্প গ্র্যান্ট ও অন্য সংস্থা কর্তৃক স্পনসর করা অনুদানের বিবরণ এখানে যুক্ত হয়নি]

টাকা রয়েছে: ২০১৮ সালে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ সদস্য ফি নেয়নি। মিউনিখ উইকিমিডিয়া সম্প্রদ্বায় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশকে ডোনেশন দিয়েছিল ১৭৪০০ টাকা। অজ্ঞাতভাবে কেউ একজন উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের একাউন্টের নামে ৪৫০০ টাকা অনুদান পাঠিয়েছিল। এছাড়া, পূর্বে একাউন্টে অবশিষ্ট ছিল ৯২৭ টাকা। মোট: ২২৮২৭ টাকা।

খরচ: ১০ হাজার টাকা এনজিও বুরোতে কাগজপত্র ঠিক করতে, ২৫’শত টাকা উইকিপিডিয়া অনুষ্ঠানে ও আপ্যায়ন বাবদ, ৮৬৫ টাকা মিটআপে আপ্যায়ন বাবদ, নিবন্ধ প্রতিযোগিতার তিনটি পুরস্কার বাবদ ২৬’শত। অবশিষ্ট আছে ১৪৩৫ টাকা।

এছাড়া যার মধ্যে ১০ হাজার টাকা এনজিও বুরোতে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে অগ্রীম দিয়েছি। ২৫’শত টাকা সাঁওতালি উইকিপিডিয়া চালু উদযান ও আপ্যায়ন বাবদ, ৮৬৫ টাকা সেপ্টেম্বরের একটি মিটআপে আপ্যায়ন বাবদ, নিবন্ধ প্রতিযোগিতার তিনটি পুরস্কার বাবদ ২৬’শত। একাউন্ট পরিচালনা বাবদ ৫৭৫ টাকা। একাউন্টে অবশিষ্ট আছে ৪ হাজার ৮৫২।

আর্থিক প্রতিবেদনটি পেশ করার পর সভার সদস্যগণের কাছে কোন প্রশ্ন আছে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে উপস্থিত সদস্যগণ কোন প্রশ্ন নেই বলে জানান এবং প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান। পরে কণ্ঠভোটে প্রতিবেদনটি পাশ হয়।