বিষয়বস্তুতে চলুন

নির্বাহী পরিষদের বৈঠক/কার্যবিবরণী/জুলাই, ২০২৫

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ থেকে


নির্বাহী পরিষদের সভার কার্যবিবরণী - ০৫ জুলাই, ২০২৫

  • স্থান: অনলাইন (জুম)
  • উপস্থিত নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ: শাবাব মুস্তাফা (সভাপতি), তানভির রহমান (সাধারণ সম্পাদক), দোলন প্রভা (কোষাধ্যক্ষ), আলী হায়দার খান, মহীন রীয়াদ, আর কে হান্নান, তানবিন ইসলাম সিয়াম ও মাসুম-আল-হাসান
  • নথি তৈরি করেছেন: মাসুম-আল-হাসান

শাবাব মুস্তাফার সভাপতিত্বে সভা শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে আটটায়। এর পূর্বে তানভির রহমান নিশ্চিত করেন সভার কোরাম পূরণ হয়েছে।

সভার আলোচ্যসূচি

[সম্পাদনা]
  1. সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম
  2. জয়েন্ট স্টকের নিবন্ধন নবায়নের সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি
  3. বিগত অর্থবছরগুলোর অডিটের জন্য অডিট ফার্ম নিয়োগ
  4. এনজিওএবির নিবন্ধন সংক্রান্ত আলোচনা
  5. ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা।

সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

তানভির রহমান জানান নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য আবেদন গ্রহণ ও বাছাই ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। গত ০১ জুলাই থেকে নতুন ও বর্তমান সদস্যদের কাছে থেকে সদস্য ফি নেয়ার কাজ চলমান আছে, যা আগামী ১৫ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত চলমান থাকবে। তিনি আরও জানান এলা সেন নামে ভারতে অবস্থানকারী একজন সহযোগী সদস্য তার সদস্য পদ হালনাগাদ করতে চান, কিন্তু ভারত থেকে সদস্য ফি পাঠাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তানভির রহমান প্রস্তাব করেন, সদস্য ফি চ্যাপ্টারের একাউন্টে না পাঠিয়ে সমপরিমাণ টাকা তার নিজ এলাকায় কোন দাতব্য কাজে দান করার মাধ্যমে গৃহীত হতে পারে কিনা, পূর্বেও আমরা এভাবে নিয়েছিলাম। তানভির রহমানের প্রস্তাবে সবাই সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

জয়েন্ট স্টকের নিবন্ধন নবায়ন

[সম্পাদনা]

তানভির রহমান জানান জয়েন্ট স্টকের নিবন্ধ নবায়নের সকল কাগজপত্র টিএলসি ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে, তবে যে আইডি চ্যাপ্টারের জন্য খোলা হয়েছে সেটির বিস্তারিত আমাদের এখনো জানায়নি তারা, তবে দ্রুতই দেবে বলে জানিয়েছে। মাসুম আল হাসান বলেন, আইডি পাওয়া গেলে তাদের সাথে কার্যক্রম আর এগিয়ে নেয়া উচিত হবে না। কারণ হিসেবে তাদের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপেশাদার আচরণের কথা বলেন। শাবাব মুস্তাফাও সহমত পোষণ করে তার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তানভির রহমান জানান তিনি ইতিমধ্যে বিকল্প দেখা শুরু করেছেন, আইডি পাওয়া গেলেই অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজ শুরু করা যাবে।

অডিট ফার্ম নিয়োগ

[সম্পাদনা]

চ্যাপ্টারের নিবন্ধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত লেনদেনের কোন অডিট করা হয়নি, চ্যাপ্টারের আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা ও সরকারি প্রবিধান মেনে চলতে বিগত সকল অর্থ বছরের অডিট করা দরকার বলে তানভির রহমান উল্লেখ করেন। সভাপতি তানভির রহমান ও মাসুম আল হাসানকে অডিট ফার্গুলোর সাথে কথা বলে কোটেশন সংগ্রহের জন্য বলেন।

এনজিওএবির নিবন্ধন

[সম্পাদনা]

মাসুম আল হাসান বলেন দিনদিন চ্যাপ্টারের কাজের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে, এনজিওএবির নিবন্ধন না থাকায় অনেক সময় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। সভাপতি জানতে চান নিবন্ধনের জন্য যেসব নথি জমা দিতে হবে, তার তালিকা চান এবং প্রয়োজনে এ কাজের জন্য এজেন্সি নিয়োগের কথা বলেন। মাসুম দ্রুতই তালিকাটি শেয়ার করবেন বলে জানান।

ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা

[সম্পাদনা]

মাসুম আল হাসান জানান ট্রেইনিং অব ট্রেইনার, উইকিক্যাম্প, হ্যাকাথন, এবং আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে সভার আয়োজনের মত বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ এ বছরে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। এছাড়া বাংলার প্রেমে উইকির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাও উল্লেখ করেন। শাবাব মুস্তাফা গ্ল্যাম নিয়ে দেশব্যাপী কার্যক্রম বৃদ্ধির উপরে জোর দেন। এছাড়া প্রথমবারের মত আমরা কোডিং নিয়ে কিছু করার পরিকল্পনা করছি তাই 'হ্যাকাথন' নাম না দিয়ে 'টেক-হাডল' বা 'টেক-আলাপ' এইরকম কোন নাম দেয়া যায় কিনা তা যোগ করেন।

রাত সাড়ে ১০ টায় সভার সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে সভা সমাপ্ত করেন।